নিউজ ডেস্ক :: অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের প্রেমের টানে স্পেনের বিলাসী জীবন ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন মারিয়া মিম। পরিবারের সম্মতি নিয়ে ভালোবেসেই ঘরে বেঁধেছিলেন দুজন। সেই ঘর আলোকিত করেছে এক পুত্রসন্তান। সুখের গানে মুখরিত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আজ ভাঙনের বিষাদ সুর।
সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিম মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত অনেক দিন ধরেই। তিনি চাইছেন নিয়মিত কাজ করতে। কিন্তু স্বামী চাইছেন না তার স্ত্রী শোবিজে কাজ করুক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মানসিক দূরত্ব। মারিয়া মিম আর সিদ্দিকের সঙ্গে থাকতে চান না বলে গণমাধ্যমে জানান। তিনি শিগগিরই ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, চেয়েছিলাম বিষয়টি নিয়ে কথা না বলতে। কিন্তু এখন না বলেও থাকতে পারছি না। কারণ আমার স্ত্রী সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে, সে আমার সংসার করবে না, আমি তাকে অভিনয় করতে দেই না, আরও কত কি। অনেকেই হয়তো আমাকে খারাপ ভাবচ্ছেন। দেখুন, আমি মিডিয়ায় অনেক বছর ধরে কাজ করি। আমার একটা সুনামও আছে। আর্থিক দিক থেকেও আমি বেশ স্বচ্ছল। আমি চাই না আমার স্ত্রী মিডিয়ায় কাজ করুক। আমাদের একটা সন্তান আছে। ওর নাম আরশ হোসাইন, ওর বয়স সাড়ে ৬ বছর। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি ওকে অনেক বুঝিয়েছি। মনে হচ্ছে, লাভ হয়নি। সত্যি বলতে আমি চাই না, আমার স্ত্রী মিডিয়ায় কাজ করুক। এই নিয়েই মূলত আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। গত আড়াই-তিন মাস ধরে রাগ করে সে চলে গেছে। বহুবার ওকে ফোন দিয়েছি কিন্তু সে কিছুই শুনছে না। সন্তানের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছুই সহ্য করেছি। কিন্তু এরও তো একটা শেষ আছে। ও যদি বিচ্ছেদ চায় আর যদি বিচ্ছেদই হয়, তখন অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আনবো।
তিনি বলেন, আমরা ১২-১২-১২ তে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর বিয়ে করেছি ২০১২ সালের ২৪ মে। সংসার জীবনে ওর কাছ থেকে আমি নানাভাবে প্রতারিত হয়েছি। ওসব কথা বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলি, সব ইতিহাস বললে আমার স্ত্রী গ্রেপ্তার হবে। এখনো পর্যন্ত চুপ আছি ছেলের কারণে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ছোটপর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেতার দর্শকনন্দিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাউসফুল, গ্র্যাজুয়েট, মাইক, হাম্বা, বন্ধু এবং ভালোবাসা, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, ড্যান্স ডিরেক্টর, চৈতা পাগল, বরিশালের মামা ভাগ্নে, আমাদের সংসার, রেডিও চকলেট, চৌধুরী সাহেবের ফ্রি অফার ইত্যাদি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সিদ্দিক রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। গেল জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা) থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু, মনোনয়ন পাননি।
পাঠকের মতামত: